ঘটনাটা নরসিংদী এলাকার অধীনস্হ পাঁচদোনা নামক স্হানের, স্বাধীনতার আগের সময়কার। আমার ছোটনানীর কাছে শুনেছিলাম।
আমার ছোট নানী তখন তাঁর বড় বোনের সাথে একটি বড় আকারের কয়েকটি প্রকোষ্ট বিশিষ্ট পাকা বাড়ী (যা হিন্দুদের কাছ থেকে খরিদ করা ছিলো ) তাতে বাস করতো। একদিন বর্ষাকালের ঝুম মুষলধারে বৃষ্টির দিন ইলিশ মাছ খুব সস্তা হওয়াতে বড়নানা দুটি প্রমাণ সাইজের ইলিশ মাছ কিনে বাড়িতে ফিরেন। তখন মাছ কিনতে হতো …বিকেল বেলা সাপ্তাহিক হাট থেকে। পরবর্তীতে দুই বোন অর্থাত্ দুই নানী মিলে মাছ কূঁটতে বসেন রান্না ঘরে সময় সন্ধ্যা হয়ে গেছে !!
কেরোসিনের কূপির আলোতে মাছ কূঁটা চলছে। হঠাত্ একটি বড় হুলো বিড়াল এসে খুব বিরক্ত করতে লাগলো একবার মাছে মুখ দিতে চায় তো একবার কূপিবাতি গা দিয়ে ঘসে ফেলে দিতে চায় ! ছোট নানী লাঠি দিয়ে বিড়ালটি মারতে গেলে কূপি উল্টে ফেলে নিভিয়ে দেয় রান্নাঘর অন্ধকার হয়ে পড়ে । দুই নানী যাঁর যাঁর হাতের কূটা অসমাপ্ত মাছ নিয়ে সতর্ক হয়ে পড়ে যদি বিড়ালটা নিয়ে যায় । পরবর্তীতে মাছ নিয়ে সেকি টানাটানি ,দুই নানী একদিকে টানে তো মাছের অন্যদিক ধরে টানে অসুরের ন্যায় শক্তি দিয়ে কিছু একটা অন্ধকার ঘর তাই বুঝা যাচ্ছিলো না কি হতে পারে সেটা ! তবে শক্তির মাপে বিড়াল বলে মনে হয়নি সেটাকে- নানীরা বলেছিলো !!
ভয় পেয়ে ডাকাডাকি করাতে অন্য ঘর হতে বড় নানা আরেকটি কূপিবাতি নিয়ে আসেন এবং এর আলোতে দেখেন ইলিশ মাছের মাথার অংশটুকু দুই নানীর হাতে ধরা বাকি অংশটুকু ছিঁড়ে নিয়ে গেছে । সকলেই কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে রইলো সেই রাতে মাছ আর খাওয়া হলো না !!!