বিড়ালরূপী !!

Photo: ।। লাশ খেকোর প্রত্যবর্তন ।।

আপনি হয়তো গভীর রাতে দূরপাল্লার বাসে দূরের কোন গন্তব্যে যাচ্ছেন । বাসে যাত্রী বলতে গেলে শুধুই আপনি । সাথে আছে হেল্পার আর ড্রাইভার । হঠাত্ কিছু লোক আপনাদের বাসটাকে থামতে ইশারা করলো । তাদের সাথে একটা কাপড়ে জড়ানো লাশ । বাস

থামলে তারা ড্রাইভারের কাছে একটা লিফ্ট চাইলো । তারা বললো যে, লাশটাকে তারা কবরস্থানে নিয়ে যাচ্ছে দাফন করার জন্য । কাছাকাছি কোন কবরস্থান পেলেই নেমে যাবে । হেল্পার আর ড্রাইভার কোন সন্দেহ ছাড়াই তাদেরকে লিফট দিল । বাসের একদম পিছনে গিয়ে তারা বসলো । কিছুক্ষণ পর আপনি লক্ষ্য করলেন যে তারা অদ্ভূত একটা কাজ করছে । লাশটাকে কাপড় থেকে বের করছে । তারপর আপনার চোখের সামনে আপনাকে হতবাক করে দিয়ে হঠাত্ তারা লাশটাকে টেনে টেনে , কামড়ে কামড়ে খেতে লাগলো । কেমন লাগবে আপনার টাটকা একটা লাশ এভাবে খেতে দেখলে ??

এটা কোন হরর মুভির দৃশ্য নয় । বাংলাদেশ সহ আরো বিভিন্ন দেশের ভয়াবহ ঘটনা এটি ।

উপরে এতক্ষণ যাদের কথা পড়লেন , এরা এমন এক ধরনের জিনিস যাদের কাজই হলো লাশ খেয়ে ফেলা । এদেরকে বলা হয় "আদমখোর ।"

আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন , যারা এই আদমখোরদের কথা জানেন । গ্রামেও অনেক

ঘটনা আছে আদমখোরদের নিয়ে । গভীর রাতে কবরস্থান থেকে সদ্য সমাহিত করা লাশ এসব

আদমখোরেরা চুরি করে নিয়ে যায় । পরে সেসব লাশ কে আধা খাওয়া অবস্থায় পাওয়া যায় । লাশের ভিতরে দেখা যায় কলিজা, কিডনি , ফুসফুস এগুলো নেই । অনেকেই বলে যে , এসব কাজ শিয়ালে করে থাকে অথবা অনেক অসাধু লোক মরা মানুষের কিডনি , লিভার চুরি করে বিক্রী করে দেয় । তবে যেটাই ঘটে থাকুক না কেন , কোন কোন জংলা জায়গায় অথবা কবরস্থানে অনেকেই এসব আদমখোরদেরকে লাশ খাওয়া অবস্থায় দেখেছেন ।

আদমখোররা দেখতে মানুষের মত হলেও এরা আদৌ মানুষ কিনা সে ব্যাপারে সংশয় আছে ।

এম্বুলেন্স দিয়ে লাশ নিয়ে যাওয়ার সময়ও অনেক আজব আজব ব্যাপার ঘটে । এম্বুলেন্সের

ড্রাইভারদের সাথে এমন সব ঘটনা ঘটে যার কারণে অনেকেই এম্বুলেন্স চালানো ছেড়ে দেয় । এক এক জনের অভিজ্ঞতা এক এক রকম । কেউ কেউ বলেছে যে , লাশ নিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ীর ইঞ্জিনে সমস্যা হয়েছে । কারো গাড়ীর গতি কমে গিয়েছিল , কেউ কেউ রাস্তায় কাপড়

দিয়ে ঢাকা লাশ পড়ে থাকতে দেখেছে । অনেকে এও বলেছে যে তারা গাড়ীর ভিতরে লাশকেই

বসে থাকতে দেখেছে !

কল্পনা হোক অথবা বাস্তবই হোক , এরকম পরিস্থিতিতে নিশ্চয় আপনি গাড়ী চালাতে পারবেন

না !! অনেকেই বলে থাকেন যে, লাশ নিয়ে যাওয়ার সময় খারাপ জিনিস লাশকে ছিনিয়ে নিয়ে যেতে চায় । নৌকা দিয়ে লাশ নিয়ে যাওয়ার সময় নাকি অদৃশ্য কিছু লাশকে খেয়ে রেখে যায় । কিসের কাজ কে জানে ??

বিদেশে প্রেতসাধনা অথবা শয়তান কে খুশী করার জন্য গ্রেভইয়ার্ড থেকে লাশ চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয় । টাকার বিনিময়ে প্রেতসাধকরা এসব কাজ গ্রেভইয়ার্ডের লোকদের দিয়ে করায় । সমাহিত করার সময় কফিনের ভিতর লাশ আছে নাকি নেই , সে মাথাব্যাথা কারই বা থাকবে??

আপনি এখন হয়তো বাসে করে কোথাও যাচ্ছেন । বাসে আপনি ছাড়াও পিছনের সিটে কিছু লোক বসে রয়েছে । তাদের সাথে লাশ না থাকুক তাতে কী ? তাকিয়ে দেখুন তো , দু চোখ ভরা লোভ নিয়ে ওরা আপনার দিকে তাকিয়ে নেই তো ?? সুযোগ পেলে মরা মানুষের চেয়ে জ্যান্ত মানুষের মাংস খেতে ওরা নিশ্চয় দ্বিধা করবেনা ?!?

কাহিনী ভাল লাগলে লাইক দিয়ে আরও ঘটনা দিতে উৎসাহ দিন ।

ঘটনাটা নরসিংদী এলাকার অধীনস্হ পাঁচদোনা নামক স্হানের, স্বাধীনতার আগের সময়কার। আমার ছোটনানীর কাছে শুনেছিলাম।

আমার ছোট নানী তখন তাঁর বড় বোনের সাথে একটি বড় আকারের কয়েকটি প্রকোষ্ট বিশিষ্ট পাকা বাড়ী (যা হিন্দুদের কাছ থেকে খরিদ করা ছিলো ) তাতে বাস করতো। একদিন বর্ষাকালের ঝুম মুষলধারে বৃষ্টির দিন ইলিশ মাছ খুব সস্তা হওয়াতে বড়নানা দুটি প্রমাণ সাইজের ইলিশ মাছ কিনে বাড়িতে ফিরেন। তখন মাছ কিনতে হতো …বিকেল বেলা সাপ্তাহিক হাট থেকে। পরবর্তীতে দুই বোন অর্থাত্‍ দুই নানী মিলে মাছ কূঁটতে বসেন রান্না ঘরে সময় সন্ধ্যা হয়ে গেছে !!

কেরোসিনের কূপির আলোতে মাছ কূঁটা চলছে। হঠাত্‍ একটি বড় হুলো বিড়াল এসে খুব বিরক্ত করতে লাগলো একবার মাছে মুখ দিতে চায় তো একবার কূপিবাতি গা দিয়ে ঘসে ফেলে দিতে চায় ! ছোট নানী লাঠি দিয়ে বিড়ালটি মারতে গেলে কূপি উল্টে ফেলে নিভিয়ে দেয় রান্নাঘর অন্ধকার হয়ে পড়ে । দুই নানী যাঁর যাঁর হাতের কূটা অসমাপ্ত মাছ নিয়ে সতর্ক হয়ে পড়ে যদি বিড়ালটা নিয়ে যায় । পরবর্তীতে মাছ নিয়ে সেকি টানাটানি ,দুই নানী একদিকে টানে তো মাছের অন্যদিক ধরে টানে অসুরের ন্যায় শক্তি দিয়ে কিছু একটা অন্ধকার ঘর তাই বুঝা যাচ্ছিলো না কি হতে পারে সেটা ! তবে শক্তির মাপে বিড়াল বলে মনে হয়নি সেটাকে- নানীরা বলেছিলো !!
ভয় পেয়ে ডাকাডাকি করাতে অন্য ঘর হতে বড় নানা আরেকটি কূপিবাতি নিয়ে আসেন এবং এর আলোতে দেখেন ইলিশ মাছের মাথার অংশটুকু দুই নানীর হাতে ধরা বাকি অংশটুকু ছিঁড়ে নিয়ে গেছে । সকলেই কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে রইলো সেই রাতে মাছ আর খাওয়া হলো না !!!

Related posts